অনেকেই মাকে নিয়ে অনেক কিছু লিখছে। আসলে মাকে নিয়ে লিখার কিছু নেই। কেন লিখবো। মা এটা করেন ওটা করেন। আসলে মা করেন না কি? সব কিছুই মা করে থাকেন। যা করেন নাই, সে রকম পরিস্থিতি হলেও মা করে থাকেন।
বরং আমরা মা শব্দটাকেই বিশেষন হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। যেমন আপনি আমার মায়ের মত। বা তিনি আমাকে মায়ের মত আগলে রেখেছেন।মা’ এই শব্দটাকে বিশ্লেষন করলে অযুত বিশেষন বের হবে।মা নিয়ে শুধু এটাই বলার আছে, আমি মা’কে ভালোবাসি।
একে বলে মায়ের ভালবাসা….আমরা কি প্রতিদিন একবার হলেও মা মনে করি? কখনো কি আমরা খেয়াল করি মা কি খেল দুপুরে? কখনো কি আমরা মাকে একটিবারের জন্যে জড়িয়ে ধরি প্রতিদিন।যে আমাদের কত যতনে আগলে রেখেছে।
মা কে নিয়ে কল্পনার কিছু কথা
এক লোক তার গাড়ি পার্ক করে এক ফুল দোকানে গেল। সেখানে তিনি তার মায়ের জন্য কিছু ফুলের অর্ডার দিলেন এবং ঠিকানা দিলেন কোথায় পাঠাতে হবে। তার মা তার থেকে প্রায় ২০০ মাইল দূরে থাকেন। সেখানে ফুলগুলো পাঠানোর জন্য বললেন তিনি।
অর্ডার শেষে যখন গাড়ির কাছে আসলেন দেখলেন যে , ছোট্ট এক মেয়ে গাড়ির পাশে বসে কাঁদছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন কাঁদছো কেন?
মেয়েটি বললো যে, সে তারা মায়ের জন্য একটি গোলাপ কিনতে চায়। কিন্তু তার কাছে টাকা নেই। লোকটি মেয়েটিকে দোকানে নিয়ে গেল এবং একটা ফুল কিনে দিল।
এরপর বললো যে, চল তোমাকে আমি নামিয়ে দিয়ে আসি, তোমার মায়ের কাছে, যদি তুমি চাও।
মেয়েটি গাড়িতে উঠে বসলো।
লোকটি জিজ্ঞেস করলো কোথায় নামবে?
এরপর বললো যে, চল তোমাকে আমি নামিয়ে দিয়ে আসি, তোমার মায়ের কাছে, যদি তুমি চাও।
মেয়েটি গাড়িতে উঠে বসলো।
লোকটি জিজ্ঞেস করলো কোথায় নামবে?
মেয়েটি কাছেই একটি কবরস্থানের কথা বললো। লোকটি কবরস্থানের কাছে নিয়ে গেল। অবাক হয়ে বললো, এখানে কোথায়! মেয়েটি কিছু না বলে গাড়ি থেকে নেমে নতুন একটি কবরের দিকে এগিয়ে গেল। ওখানে ফুলটি গেঁথে দিয়ে বললো,”আমি তোমাকে ভালোবাসি’ মা’।”
লোকটির চোখে পানি চলে আসলো। সে আবার আগের ফুল দোকানে গেল এবং তার অর্ডারটি বাদ দিয়ে ফুলের একটি তোড়া কিনলো। এরপর চললো ২০০ মাইল দূরে মায়ের কাছে।
[সবাই মা-কে ভালোবাসুন। কখনো মা-কে কষ্ট দিবেন না। যতটা পারুন মা-য়ের সাথে দেখা করুন। কেননা এই মা-ই একসময় আপনাকে চোখে চোখে রাখতো। হয়তো সামনে আপনি চাইলেও এই মা-কে আর এক পলক দেখতে পাবেন না।]
বৃদ্ধাশ্রম
ছেলে আমার মস্ত মানুষ,মস্ত অফিসার
মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার।
নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামী দামী
সবচেয়ে কম দামী ছিলাম একমাত্র আমি।
ছেলের আমার আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!
মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার।
নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামী দামী
সবচেয়ে কম দামী ছিলাম একমাত্র আমি।
ছেলের আমার আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!
আমার ব্যবহারের সেই আলমারি আর আয়না
ওসব নাকি বেশ পুরনো,ফ্ল্যাটে রাখা যায় না।
ওর বাবার ছবি,ঘড়ি-ছড়ি,বিদেয় হলো তাড়াতাড়ি
ছেড়ে দিলো, কাকে খেলো, পোষা বুড়ো ময়না।
স্বামী-স্ত্রী আর আ্যালসেশিয়ান-জায়গা বড়ই কম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!
ওসব নাকি বেশ পুরনো,ফ্ল্যাটে রাখা যায় না।
ওর বাবার ছবি,ঘড়ি-ছড়ি,বিদেয় হলো তাড়াতাড়ি
ছেড়ে দিলো, কাকে খেলো, পোষা বুড়ো ময়না।
স্বামী-স্ত্রী আর আ্যালসেশিয়ান-জায়গা বড়ই কম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!
নিজের হাতে ভাত খেতে পারতো নাকো খোকা
বলতাম আমি না থাকলে কি করবি রে বোকা?
ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদতো খোকা আমার কথা শুনে-
খোকা বোধ হয় আর কাঁদে না,নেই বুঝি আর মনে।
ছোট্টবেলায় স্বপ্ন দেখে উঠতো খোকা কেঁদে
দু’হাত দিয়ে বুকের কাছে রেখে দিতাম বেঁধে
দু’হাত আজো খুঁজে,ভুলে যায় যে একদম-
আমার ঠিকানা এখন বৃদ্ধাশ্রম!
বলতাম আমি না থাকলে কি করবি রে বোকা?
ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদতো খোকা আমার কথা শুনে-
খোকা বোধ হয় আর কাঁদে না,নেই বুঝি আর মনে।
ছোট্টবেলায় স্বপ্ন দেখে উঠতো খোকা কেঁদে
দু’হাত দিয়ে বুকের কাছে রেখে দিতাম বেঁধে
দু’হাত আজো খুঁজে,ভুলে যায় যে একদম-
আমার ঠিকানা এখন বৃদ্ধাশ্রম!
খোকারও হয়েছে ছেলে,দু’বছর হলো
তার তো মাত্র বয়স পঁচিশ,ঠাকুর মুখ তোলো।
একশো বছর বাঁচতে চাই এখন আমার সাধ
পঁচিশ বছর পরে খোকার হবে ঊনষাট।
আশ্রমের এই ঘরটা ছোট,জায়গা অনেক বেশি-
খোকা-আমি,দু’জনেতে থাকবো পাশাপাশি।
সেই দিনটার স্বপ্ন দেখি ভীষণ রকম
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
তার তো মাত্র বয়স পঁচিশ,ঠাকুর মুখ তোলো।
একশো বছর বাঁচতে চাই এখন আমার সাধ
পঁচিশ বছর পরে খোকার হবে ঊনষাট।
আশ্রমের এই ঘরটা ছোট,জায়গা অনেক বেশি-
খোকা-আমি,দু’জনেতে থাকবো পাশাপাশি।
সেই দিনটার স্বপ্ন দেখি ভীষণ রকম
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
”একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে “- নিজে পড়ুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। (নিজের নামে প্রকাশ করলাম)
আমার মার একটি চোখ ছিলনা ।এই জন্য আমি তাকে দেখতেই পারতাম না । সব জায়গাতেই তার জন্য আমার লজ্জা পেতে হত । তার বিদঘুটে চেহারা দেখে সবাই আমাকে উপহাস করত ।আমি সবসময়ই বলতাম যে তুমি মরতে পারনা ?? তোমার জন্য আর কত হাস্যকর পাত্রে পরিণত হব আমি ??
যাই হোক, এক সময় আমি উচ্চশিক্ষার জন্য বাহিরে পড়তে গেলাম । সেখানে সফল ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমি বিয়ে করলাম । আমি আমার স্ত্রী আর ২ টি মেয়ে নিয়ে বেশ ভালই সুখে ছিলাম ।
একদিন মা আমার সাথে দেখা করার জন্য আসলেন । এত বছরের মধ্যে আমার বা আমার পরিবারের কারো সাথে মার দেখা হয় নাই । মা যখন দরজার সামনে দাঁড়ালেন, তখন আমার সন্তানেরা তাদের দেখে হেসে ফেলল । আমি লজ্জায় তখন তাকে ধমক দিয়ে বললাম , “কে আপনি ? এখানে কেন এসেছেন ? আপনার সাহস কত যে আপনি আমার সন্তানদের ভয় দেখাচ্ছেন ? ”
মা বুঝতে পেরে বলল, ওহ ! দুঃখিত । আমি ভুল জায়গায় এসেছি ।
একসময় আমি এক নিকট প্রতিবেশীর কাছে খবর পেলাম যে আমার মা মারা গেছে । আমার মাঝে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া হলনা । আমি গেলাম আমাদের সেই পুরনো বাড়িতে ।
একজন আমাকে একটি চিঠি দিয়ে বলল যে আমার মা আমার কাছে দিতে বলেছেন ।
আমি চিঠিটি পড়া শুরু করলাম ।
” আমার প্রানপ্রিয় পুত্র ,
আমি সবসময় তোমাকে নিয়েই ভাবি । আমি অতিশয় লজ্জিত যে আমি তোমার সন্তানদের ভয় দেখিয়েছিলাম ।
আমি খুবই দুঃখিত যে আমি সবসময়ই তোমাকে হাসির পাত্রে পরিণত করেছি ।
দেখ, আসলে তুমি ছোটবেলায় খুবই ভয়ংকর এক্সিডেন্ট করেছিলে, যার জন্য তোমার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। মা হিসেবে আমি তা মানতে পারিনি । তাই আমি তোমাকে আমার একটি চোখ দিয়ে দি।
আমি মা হিসেবে খুবই আনন্দিত যে আমার ছেলে এই দুনিয়াকে প্রানভরে দেখছে ।
তোমাকে আমি অনেক ভালবাসি ।
তোমার মা ।”মা কি জিনিস সেটা বুঝা যায় যখন মা থাকে না !!
মা, আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি!!!!
No comments:
Post a Comment