^ সবার উপরে যেতে চান,আমাকে হিট করুন

খোঁজ করুন

Páginas

একটি সুন্দর জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরীর নিয়ম-২




চাকরিদাতার সাথে চাকরি প্রার্থীর প্রথম যোগসূত্র হলো সিভি (Curriculum Vitae- CV) বা রিজিউম (Resume)। চাকরিপ্রার্থীর ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত ও পেশাগত তথ্য সম্বলিত বিবরণই অধুনা জীবন বৃত্তান্ত, বায়োডাটা, সিভি বা রিজিউম নামে পরিচিত। চাকরিদাতাদের কাছে সিভি একজন প্রার্থীর প্রতিচ্ছবি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের জীবনবৃত্তান্ত গ্রহণ করা হয়। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান খুব বড় জীবনবৃত্তান্ত অপছন্দ করে। আবার কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান চাকরি প্রার্থীর খুঁটিনাটি বিষয়সমৃদ্ধ জীবনবৃত্তান্ত পছন্দ করে। তবে একটি জীবনবৃত্তান্তে নিজের যোগ্যতা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি বিষয় স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। জীবনবৃত্তান্তে নিচের বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয়া উচিত—
  • একটি জীবনবৃত্তান্তে নিজের ইতিহাসের চেয়ে যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিতে হবে।
  • নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতাকে হাইলাইটস করতে হবে।
  • সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে নিজের অভিজ্ঞতা স্পষ্ট করে তুলে ধরতে হবে।
  • জীবনবৃত্তান্তে অর্থপূর্ণ এবং আর্কষণীয় শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
  • জীবনবৃত্তান্ত যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত এবং তথ্যবহুল করতে হবে।
  • সিভি তৈরির সময় এর বিষয়বস্তু, আঙ্গিক, কাঠামো ও ভাষা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
  • আপনার উদ্দেশ্য, ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত ট্রেনিং, অভিজ্ঞতা, কম্পিউটার ও ভাষাগত দক্ষতা এবং অন্যান্য যোগ্যতা উল্লেখ করতে হবে।
  • সিভি এক পৃষ্ঠা থেকে সর্বোচ্চ তিন পৃষ্ঠার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখাই ভাল।
  • চাকরি সংশ্লিষ্ট এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন এবং অপ্রয়োজনীয় তথ্য বাদ দিতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বোল্ড, ইটালিকস, আন্ডারলাইনসহ অন্যান্য কম্পিউটারভিত্তিক প্রেজেন্টেশন ব্যবহার করতে হবে।
  • ভাষা হতে হবে সংক্ষিপ্ত এবং সরাসরি।
আপনার সিভিতে আপনার নিজস্ব দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কিভাবে এবং কতটুকু সাশ্রয়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবেন, তা উল্লেখ করার চেষ্টা করুন। এ ক্ষেত্রে আপনি যে পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হতে চান, সেই পদে আপনার দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা কতটুকু তাও উল্লেখ করা যেতে পারে। তবে পৃথক পৃথক কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথকভাবে সঙ্গতিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য ও যথার্থ প্রস্তাব রাখতে হবে। তাহলে দেখবেন অন্যান্য গতানুগতিক সিভির চেয়ে আপনার সিভি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আকর্ষণ করবে।

জীবনবৃত্তান্তের বিভিন্ন অংশ

সিভিতে প্রার্থীকে তার সৃজনশীলতা ও মননশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হয়। তাই এক এক জনের সিভি এক এক ধরনের হওয়াটাই স্বাভাবিক। একটি জীবনবৃত্তান্তে সাধারণত যে যে অংশ থাকা আবশ্যক তা নিচে উল্লেখ হলো-
Curriculum Vitae
of

XXXXX
[Full Name]
[Address][Phone/ Mobile No.][Email Address]
OBJECTIVE
যে পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হতে চান, সেই পদে আপনার দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা কতটুকু এবং আপনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য দুই-তিন বাক্যের মধ্যে সংক্ষেপে তুলে ধরুন।
EXPERIENCESপদের নাম, প্রতিষ্ঠানের নাম ও কার্যকাল লিখুন। প্রয়োজনে পয়েন্ট আকারে সম্পাদনকৃত কাজের ধারণাও উল্লেখ করতে হবে-[Job Title]
[Company Name & Address]
From [Date] to [Date]
[Job Title]
[Company Name & Address]
From [Date] to [Date]
EDUCATIONপরীক্ষার নাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বোর্ড/ বিশববিদ্যালয়, পাসের সন, প্রাপ্ত বিভাগ/শ্রেনী/ জিপিএ এবং নম্বর (%) গুছিয়ে উপস্থাপন করুন-
  •  .........
  •  .........
SKILLS
আবেদন করতে ইচ্ছুক পদের সাথে সংগতি রেখে (সম্ভব হলে) গৃহীত বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণের তথ্য লিখুন-
  •  .........
  •  .........
  •  .........
OTHER SKILLS/
EXTRA CONTRIBUTIONS
অতিরিক্ত কোনো যোগ্যতা থাকলে তা পর পর সংক্ষেপে লিখুন-
  •  .........
  •  .........
PERSONAL INFORMATIONপিতার নাম, মাতার নাম, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা, ফোন/ মোবাইল নম্বর, নিজ জেলা, জন্ম তারিখ, জাতীয়তা, ধর্ম, শখ ইত্যাদি তথ্য পর পর লিখুন-
  •  .........
  •  .........
REFERENCESঅনাত্নীয় দুই জনের নাম, সংক্ষিপ্ত ঠিকানা ও ফোন বা মোবাইল নম্বর

CV সম্পর্কে আমার প্রথম পোস্ট এখানে।

ভাল লাগলে মতামত জানাতে ভুলবেন না।

1 comment:

  1. ভাই বাংলা না দিয়ে সেই ইংলিশ .c.v ই দিলেন .এটা maximum person জানে :'( :'(

    ReplyDelete