^ সবার উপরে যেতে চান,আমাকে হিট করুন

খোঁজ করুন

Páginas

চাহিদার কাজ মার্চেন্ডাইজিং



পোশাক তৈরি থেকে বিপণন—প্রায় সব ক্ষেত্র সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হয় একজন মার্চেন্ডাইজারের
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প যেমন বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে,তেমনি সৃষ্টি করেছে কর্মসংস্থানের বিশাল ক্ষেত্র।নানা ধরনের কাজের সুযোগ আছে এ ক্ষেত্রে। বর্তমানে বাংলাদেশে কয়েক হাজার টেক্সটাইল কারখানাসহ সাড়ে চার হাজারেরও বেশি তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ হাজার বায়িং হাউস এবং ফ্যাশন ও বুটিক হাউস তো রয়েছেই। এসব ক্ষেত্রে মার্চেন্ডাইজিং পেশা হিসেবে বেশ উজ্জ্বল। 
তৈরি পোশাকশিল্পে সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন পেশা হিসেবে যেসব বিষয়কে বলা হয় সেসব হলো—বায়িং মার্চেন্ডাইজিং, বস্ত্র প্রকৌশল, ফ্যাশন ডিজাইন প্রভৃতি। তৈরি পোশাকশিল্প কারখানায় একজন মার্চেন্ডাইজারের গুরুত্ব অনেক বেশি।

ঢাকার সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইলটেস্টিংঅ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের শিক্ষক এস এম মাসুম আলম বললেন, একজন মার্চেন্ডাইজারকে আসলে ক্রেতার (বায়ার) সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে পোশাক তৈরির অর্ডার নেওয়ার কাজটা করতে হয়।

সে ক্ষেত্রে অর্ডার অনুযায়ী পোশাক সরবরাহ ও মান নিয়ন্ত্রণের কাজটিও পরোক্ষভাবে জানা থাকতে হয়।দেখতে হবে বায়ারের চাহিদামতো পণ্যটি তৈরি হয়েছে কি না, মানসম্পন্ন হয়েছে কি না।
বিশ্বখ্যাত কয়েকটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করা এই মার্চেন্ডাইজার যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের যোগাযোগ যদি আরও বাড়ানো যায়, তবে আমাদের ভবিষ্যৎ অনেক সুন্দর হবে।মার্চেন্ডাইজিংয়ে দক্ষ জনবলের অভাব এখনো আছে এ দেশে। ফলে এ পেশায় কাজের সুযোগ অনেক বেশি।’

পড়াশোনার ধরন
ফ্যাশন প্রযুক্তির নানা বিষয় পড়ানো হয় বাংলাদেশে। মার্চেন্ডাইজিংয়ের ওপরও কোর্সরয়েছে।বাংলাদেশকারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় রয়েছে তিন মাস, ছয় মাস ও এক বছর মেয়াদি কোর্স। এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানে আছেএক থেকে দুই বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স। আবার উচ্চতর ডিগ্রির ক্ষেত্রে রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবংকিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক কোর্স। বিএসসি অনার্স ইন ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং, এমবিএ ইন অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং প্রভৃতি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে দেশেই।

কী শেখানো হয়
মার্চেন্ডাইজারকে ফ্যাশন ও টেক্সটাইলের খুঁটিনাটি জানতে হয়। মার্চেন্ডাইজিংয়ের কোর্সগুলোতে পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া ব্যবস্থাপনা (সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট), মার্চেন্ডাইজিংয়ের সূচনা, টেক্সটাইল ফাইবার অ্যান্ড ইয়ার্ন, ওভেন ফেব্রিক্স, নিটওয়্যার ফেব্রিক্স, সোয়েটার ডিজাইন, টেক্সটাইল ফিনিশিং, প্রিন্টিং অ্যান্ড টেস্টিং, প্যাটার্ন মেকিং, মান ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা, সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স, কমার্শিয়াল প্রসিডিউর, কনজামশন অ্যান্ড গার্মেন্টস কাস্টিংসহ শিখতে হয় স্টাডিজ প্ল্যানিং, ফেব্রিক ডিজাইন, প্রিন্টিং ফ্যাশন এক্সেসরিজ ডিজাইন, ফ্যাশন মার্চেন্ডাইজিং, টেক্সটাইল সায়েন্স, কালার মিক্সিং, বিপণন ইত্যাদি বিষয়ে ব্যবহারিক ও তত্ত্বীয় শিক্ষা দেওয়া হয়। এসব বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরি মার্চেন্ডাইজিংয়ে কাজ করার জন্য।

বেতন কেমন, চাকরি কোথায়
দেশি-বিদেশি বস্ত্র কারখানা, বিভিন্ন বায়িং অফিস, ফ্যাশন হাউস, তৈরি পোশাকশিল্প ও টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে সরাসরি কাজ করার সুযোগ রয়েছে মার্চেন্ডাইজারদের। বেতন নির্ভর করছে অভিজ্ঞতা আর কর্মের দক্ষতার ওপর। এ ক্ষেত্রে বেতন দ্রুত বাড়ে। পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে বেতন ৬৫ থেকে ৯৫ হাজারে উন্নীত হতে পারে। সঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তো আছেই।

সূত্র

No comments:

Post a Comment