^ সবার উপরে যেতে চান,আমাকে হিট করুন

খোঁজ করুন

Páginas

বাংলাদেশে চলে আসছে পাকিস্তানের গার্মেন্টস শিল্প।



পাকিস্তানের শিল্পপতিরা তাদের পোশাক শিল্পের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করায় দেশটিতে বেকারত্ব বাড়ছে। এতে পাকিস্তানের প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক ও দুই লাখ পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বেকারত্বের শিকার হয়েছে। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের পোশাক শিল্প গবেষক শাকিল আহমেদ এই মন্তব্য করেন।এই খবর দিয়েছে পাকিস্তানের ইংরেজি পাকিস্তান ডেইলি টাইমস। শাকিল আহমেদ বলেন, “পাকিস্তানের পাঞ্জাবের অধিকাংশ পোশাক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা বাংলাদেশে সরিয়ে নিচ্ছেন।

এতে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে সরকার বা পোশাক শিল্প মালিক কেউই ক্ষতিপূরণ দেয়নি।”
‘আনঅ্যামপ্লয়মেন্ট সার্জেস অ্যাস টেক্সটাইল ইউনিটস ‍শিফট টু বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রকাশিত পাকিস্তান ডেইলি টাইমস‘র ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অধিক মুনাফার জন্য বাংলাদেশে পোশাক শিল্প সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এতে করে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভালো ব্যবসায়িক চুক্তি করা যাবে।

পাকিস্তানের বস্ত্রমন্ত্রী মাখদুম সাহাবুদ্দিন নিশ্চিত করেছেন যে, পাকিস্তানের পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে বাংলাদেশে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “ অধিক লাভের জন্যই ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে ব্যবসা সরিয়ে নিচ্ছেন।”

এদিকে গার্মেন্টস মালিকরা বলেছেন, তারা বাধ্য হয়েছেন তাদের ব্যবসা সরিয়ে নিতে। কারণ পাকিস্তানে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য অপর্যাপ্ততার জন্যই বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকেছেন তারা।

বস্ত্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ তাদের ইপিজেড-এ(রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা) পাকিস্তানি পোশাক ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বিশেষ এলাকা বরাদ্দ করেছে।
শাকিল আহমেদ বলেন, “গ্যাস বিদ্যুতের অপর্যাপ্ততার দোহাই দিয়ে দেশের রাজস্বকে বঞ্চিত করছেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশেও বিদ্যুৎ স্বল্পতা রয়েছে।”

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, পাকিস্তানের পোশাক শিল্পের বাধাগুলো নিয়ে এখনো সরকার অবগত নয়। ওয়ার্ল্ড টেক্সটাইল ওর্গানাইজেশনের নিয়ম কানুন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাহিদা অনুযায়ী সরকারি সহায়তা পেলে পাকিস্তানের গার্মেন্টস শিল্প ইউরোপ আমেরিকার বাজারে প্রবেশ করতে পারবে। প্রায় ৭০টি রফতানি যোগ্য গার্মেন্টস সামগ্রী বিশ্বে রফতানি করতে পারবে।

পাকিস্তান ডেইলি টাইমস’র প্রতিদেনে বলা হয়, বাংলাদেশ পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। এমন কি অব্যাহতভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। প্রথম ১০ বছর করমুক্ত ও ইউরোপীয় বাজারে শুল্কমুক্ত পবেশাধিকার দিচ্ছে। এইসব সুযোগ সুবিধার কারণে পাকিস্তানি গার্মেন্টস মালিকরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশে বিশাল বিনিয়োগ করেছেন।

শাকিল আহমেদ আরো বলেন, “বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তানে ব্যবসা করা ব্যয়বহুল। শ্রমমূল্য অনেক বেশি। বাংলাদেশে স্বাভাবিকের তুলনায় কম এবং সহজেই দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যায়।” বাংলাদেশে গার্মেন্টস ব্যাবসায় পাকিস্তানের থেকে ৩০ শতাংশ বেশি লাভ করা যায় বলে জানান শাকিল আহমেদ।

পাকিস্তান ডেইলি টাইমস জানায়, আন্তর্জাতিক ক্রেতারা ক্রমশ পাকিস্তান থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিচ্ছে। বৈদ্যুতিক সল্পতার জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। ব্যবসায়ীদের কাছে সময়ের মূল্য অনেক। তারা যথাসময়ে পণ্যের সরবরাহ দাবি করে। পোশাকশিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সরকারের বহু পরিকল্পনার সঙ্গে সদিচ্ছার প্রয়োজন। সরকারের আচরণে গার্মেন্টস মালিকরা রীতিমতো হতাশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উৎপাদিত পন্য নিয়ে বিশ্ব বাজারে শুল্ক মুক্ত প্রবেশের সুবিধা দেয়ার জন্যই বাংলাদেশকে প্রথম পছন্দ পাকিস্তানের গার্মেন্টস শ্রমিকদের। সরকারের এটি বোঝা দরকার।


সুত্রঃ greenbangla24.com

No comments:

Post a Comment