^ সবার উপরে যেতে চান,আমাকে হিট করুন

খোঁজ করুন

Páginas

ওয়েব ডিজাইনার হইতে হলে যা যা জানতে হবে


ওয়েব ডিজাইনিং (গ্রাফিক্স ও মাল্টিমিডিয়া)

ওয়েব ডিজাইনিং অনেকটাই মাল্টিমিডিয়া সংশ্লিষ্ট হলেও এটি মাল্টিমিডিয়া এবং ইন্টারনেট  নেটওয়ার্কিংয়ের একটি সমন্বিত বিষয়। এখানে মাল্টিমিডিয়ার একটি বিরাট ভুমিকা রয়েছে।
ওয়েব ডিজাইনিংয়ের জন্য থাকতে হবে সৃষ্টিশীল মনন, দলগত দক্ষতা, যোগাযোগ সংশ্লিষ্টতা, প্রকল্প ও প্রয়োজনকে জানার ক্ষমতা, ইন্টারনেট সম্পর্কে আগ্রহ প্রভৃতি।

যা জানতে হবে

সাধারনত ওয়েব এ ক্যারিয়ার গড়তে এডবি ফটোশপ, ফ্ল্যাশ, ড্রিমওয়েভার, ডাইরেক্ট, জাভা, ফায়ার ওয়ার্কস, এডবি ইলাষ্ট্রেটর, কোরেল, এনিমেশন ষ্টুডিও ইত্যাদি।

ওয়েব মাষ্টার এবং ওয়েব ইঞ্জিনিয়ারিং

একজন টেকনোলজি এক্সপার্ট জানেন কীভাবে চাহিদা ও প্রয়োজন অনুসারে ওয়েব সাইট তৈরি করতে হয়। ওয়েব সাইট তৈরি করেই তিনি বসে থাকেন না, তিনি এর সব রেসপসিবিলিটি নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন। যেমন-ওয়েব সাইটটির মেইনটেন্যাস, আপডেট, ট্রাবলশ্যুটিং ইত্যাদি সবই তার করতে হয়।
ওয়েব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য আপনার থাকতে হবে-প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার, অপারেটিং সিষ্টেম এবং প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে দক্ষতা, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং মাইন্ড, ভালো সিষ্টেম, এডমিনিষ্ট্রেটর দক্ষতা এবং টেকনিক্যাল মাইন্ড। প্র্যাকটিক্যাল এক্সপেরিয়েস, হাইটেক ইন্ডাষ্ট্রির বর্তমান ট্রেন্ড সম্পর্কে ধারণা, ওয়েব সিকিউরিটি সম্পর্কে জ্ঞান, নেটওয়ার্ক কনসেপ্ট।
এছাড়াও আপনাকে জানতে হবে ঐঞগখ প্রোগ্রামিং, জাভা, জাভা স্ক্রিপ্ট, সিজিআই, এএসপি বা পার্ল ইউনিক্স এবং লিনাক্স এনভাইরনমেন্ট, উইন্ডোজ এনটি ইত্যাদি।
আপনাকে মনে রাখতে হবে, সব প্রোগ্রাম একসঙ্গে না জানলেও হবে, কিন্তু কিছু বেশি জিনিসের সঙ্গে এডভাসড দক্ষতার প্রয়োজন।

ডাটা বেইজ এডমিনিষ্ট্রেশন

ডাটাবেইজ এডমিনিষ্ট্রেশন পেশা হিসেবে খুব চাহিদাপুর্ণ। এই ক্যারিয়ারের একজন পেশাজীবীকে ডাটাবেইজের তথ্যকে শর্ট করা, কালেক্ট করা এবং রেকর্ড করার কাজটি করতে হয়। নিরাপদ একটি ডাটাবেইজ দাঁড় করতেও এর ভুমিকা অনস্বীকার্য।
এ কাজে আপনার থাকতে হবে-হাইলি অ্যানালিটিক্যাল মাইন্ড, ধৈর্য এবং টেকনিক্যাল কাজের প্রতি আগ্রহ, ষ্ট্যাটিসটিকাল ব্যাকগ্রাউন্ড।
আপনাকে আরো জানতে হবে-ওরাকল, মাইএসকিউএলসহ অন্যান্য প্রধান ডাটাবেইজ নলেজ। তবেই আপনি দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠবেন।


ওয়েব ডিজাইনারদের পাঁচটি অপছন্দের বিষয়




ক্রিয়েটিভ কাজ বলতেই নিজের মতো করে করা। কিন্তু ওয়েব ডিজাইনিং একদিকে যেমন নিজের ক্রিয়েটিভিটি ফুটিয়ে তোলা, আরেক দিকে ক্লাইন্টের কথার সম্মান দেখানো- আর এ দুটি জিনিস যখন একে অপরের বিরোধীতায় চলে যায় তখনই হয় বিপত্তি। এখানে আমি এরকম বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করতে চাই। কয়েকদিন আগে আমার ছাত্র জীবনের গ্রাফিক্স ডিজানিং এ কি কি ঝামেলায় পড়তাম তার উপরে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। সেই লেখাটার সাথে অনেকক্ষেত্রে মিলে যায় বেপারগুলো। তবে সব সময় যে এরকম বেপারগুলো ঘটে তা কিন্তু নয়।
অধিকাংশ সময়ই বেপারগুলো পজিটিভ হয়। এখানে শুধু বিরক্তকর বেপারগুরোই আলোচনায় আনা হলো।
১. আমি আসলে যতটা সম্ভব কম খরচের মধ্যে কাজটা করাতে চাই কিন্তু এই এই বিষয়গুলো আমার ওয়েবসাইটে থাকতে হবে : ডিজাইনারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা এটা। প্রাথমিকভাবে কোন ডিজাইনের কাজে হাত দিতে হলে টাকার বেপারটাই প্রধান। ডিজাইনিং এবং রিকোয়ারমেন্টের সব আলোচনার সর্বশেষ আলোচনা হলো বাজেট। একটা সাইটের কাজ করতে ক্লাইন্টের একটা বাজেট থাকে। একজন ডিজাইনারেরও সময়ের মূল্য আছে। আর সেই বেপারটা নিয়ে প্রথম বনাবনি মিলে না। আমার চাহিদা এরকম অথচ বাজেট এরকম।
অন্যান্য কাজের চাপ বেশি থাকলে এরকম কাজ না নেওয়াই উচিৎ। টাকার বেপারটা সঠিকবাবে না মিললে কাজ করাটা কঠিন হয়ে পড়ে। তাছাড়া কোন প্রজেক্টের কাজের পরিমান কমে না। বরং বাড়তে থাকে। তাই প্রথমেই হিসেবটা কষে নেওয়া উত্তম।
আপনার কাজের চাপ না থাকলে নিজের একটা ঘন্টাপ্রতি খরচ হিসেব করে জানিয়ে দিতে পারেন যে আমার ঘন্টাপ্রতি শ্রম মূল্য XXX টাকা। তাই আপনার প্রজেক্টটা করতে আনুমানিক এত ঘন্টা সময় লাগতে পারে। আপনি চাইলে কাজটি আমাকে দিতে পারেন।
ক্লাইন্ট অনেক সময় এরকমও বলতে পারে যে, আমি অমুককে দিলে কাজটা ##### টাকায় করে দিতো কিন্তু আমি একজন প্রফেশনাল ডিজাইনার চাই। কিন্তু আপনার বাজেট অনেক বেশি…

২. আমি নিজেই অবশ্য সাইটের বেশ কিছু কাজ করতে পারতাম। আমি আপনাকে যেভাবে বলি সেভাবে করবেন : এ ধরেনর কথাটা মূলত তখনই আসে যখন ক্লাইন্ট মোটামুটি প্রোফেশনাল লোক। কম্পিউটার ও ওয়েব সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা রাখে কিন্তু ডিজাইন করার জন্য একজন প্রোফেশনাল প্রয়োজন, তাই নিজ হাতে কাজটা করবে না। এমন ও হতে পারে সে ডেক্সটপ এপ্লিকেশন বানাতে পারে কিন্তু ওয়েব এপ্লিকেশন বানাতে পারে না। এমন হতে পারে ফ্রন্ট সাইডের কাজ কিছু কিছু পারে কিন্তু সারভার সাইডের কাজগুলো পারে না। তাদের নিয়ে কাজ করতে অনেক সুবিধাজনক হবে তবে তাদেরও থাকে কম বাজেট। তাছাড়া তাদের নিয়ে রিকোয়্যারমেন্ট এনালাইসিসের কাজটি করতে সুবিধা হয়।
একটা বিষয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন তাহলো তারা কাজের চেয়ে এত বেশি কোয়েরী করে যে কাজটি নিয়ে হিমসিম খেতে হয়।

৩. ডিজাইনটা একেবারে সাদামাটা হয়ে গেল না? আরো ঝকঝকে ডিজাইন দরকার : রং সম্পর্কে যাদের ধারণা নাই তারা হয়তো আপনাকে এই রং পরিবর্তনের জন্য সাজেশন দিবে। তারা মনে করে অনেক বেশি রং চটা ডিজাইনই বুঝি সুন্দর হয়। কোন ব্যক্তির হয়তো “টিয়া” রং পছন্দ করে তাই তাই ব্যাকগ্রাউন্ডে টিয়া রং, ফন্ট লাল -ইত্যাদি করতে বললো। একটা জিনিস অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, যে ডিজাইনটি আপনি করবেন সেটা সেটা শুধু তার সাইটই নয় সেটা আপনার একটা সম্পদ। এমন ডিজাইন করবেন না যেটা আপনার পোর্টফলিওতে প্রকাশ করতে সমস্যা হয়ে যায়। সব সময় সবার কথা রক্ষা করতে হবে তেমন কিন্তু না। তাকে অবশ্যই বুঝাতে হবে-যে ওয়েবসাইট ডিজাইনের রং পছন্দের বেপারে আরও অনেকগুলো বেপারে নিশ্চিত হতে হয়।

৪. আমার ওয়েবসাইটটি ঠিক এর মতো হবে এবং এই জিনিসগুলো অবশ্যই অতিরিক্ত থাকতে হবে : অনেক সময়ই কোন একটি সাইটের মতো ডিজাইন দেখিয়ে দিলে সহজেই বানানো যায় ক্লাইন্টের ওয়েব। কিন্তু অনেক সময় কোন একটি সাইটে আঙ্গুল দেখিয়ে আবার আরও কিছু কিছু জিনিসের উল্লেখ করা হয় যা করতে অনেক বেশি এলগরিদম আর কোডিং করতে হবে। আর তখনই কাজের হিসেবের সাথে খরচের হিসাবটা মিলে না।

৫. (ডিজাইন শেষ হওয়ার পরে) আমি এই জিনিসগুলো যুক্ত করতে চাইছি : ডিজাইনটি শেষ হওয়ায় উপক্রম হলে যখন কেউ তার সাইটের ডিজাইনের বেপারে নতুন কোন জিনিস সংযুক্ত করতে বলে তখন দেখা দেয় বিপত্তি। অনেক সময় রিকয়্যারমেন্ট এনালাইসিস এ একটি বিষয় না রাখলে সেটা পরে করতে হলে আনেক ঝামেলায় পড়তে হয়।

উপরের আলোচনা শুনে অনেকে মনে করতে পারেন – এটা অনেক ঝামেরার বেপার । আশার কথা হরো ক্লাইন্টদের কাছ থেকে অনেক নতুন নতুন আইডিয়া নেওয়া যায়। এবং আধিকাংশই চায় সহজে কাজটি উদ্ধার হয়ে যাক। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, এই কামনায় আজকের মতো শেষ করছি।

No comments:

Post a Comment