^ সবার উপরে যেতে চান,আমাকে হিট করুন

খোঁজ করুন

Páginas

এক নজরে জেনে নেই অপারেটিং সিস্টেম UBUNTU সম্পর্কে

আসসালামু আলা‌ইকুম।আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।

আমরা হয়ত আনেকে এই অপারেটিং সম্পর্কে পরিচিতি কিন্ত যারা জানেনা তাদেরকে

আজ অপারেটিং সিস্টেম UBUNTU সম্পর্কে জানাতে চাই।

UBUNTU : দারুণ এক অপারেটিংসিস্টেম

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ক্রমবর্ধমান অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে উবুন্টু।
উবুন্টু শব্দটি এসেছে একটি আফ্রিকান ধারণা থেকে যার অর্থ অনুবাদ করলে দাঁড়ায়-অন্যের জন্য মনুষ্যত্ব। উবুন্টু হচ্ছে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের একটি সংস্করণ। লিনাক্সের কেবল একটি সংস্করণ নয়, রয়েছে শত শত সংস্করণ। সংস্করণগুলোকে বলা হয় লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন বা সংক্ষেপে ডিস্ট্রো। এর অন্যান্য ডিস্ট্রিবিউশনগুলোর মধ্যে রযেছে এডুবুন্টু, গবুন্টু, কুবুন্টু, লুবুন্টু, উবুন্টু মোবাইল (মোবাইল সংস্করণ) ইত্যাদি।
এ বৈচিত্র্য সম্ভব হয়েছে মুক্ত সফটওয়্যারের স্বাধীনতার কারণে। অর্থাত্ যে কেউ লিনাক্সের একটি সোর্স কোড নিয়ে, তাতে পরিবর্তন করে নিজের একটি সংস্করণ তৈরি করতে পারে। কোনো কোনো সংস্করণকে বাণিজ্যিকভাবে অর্থায়ন করা হয়, বাকিগুলো গঠিত হয় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা লিনাক্স ব্যবহারকারীদের বিশাল কমিউনিটির সুসংগঠিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে। উবুন্টু গঠিত হয়েছে এ দুটি মাধ্যম দ্বারাই। এটিকে অর্থায়ন করছে ক্যানোনিকাল নামক দক্ষিণ আফ্রিকান একটি প্রতিষ্ঠান, যার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাটলওর্থ এটি গঠন করেছেন ২০০৪ সালে। কিন্তু উবুন্টু বিশাল কমিউনিটির স্বেচ্ছাশ্রমের সুবিধাও গ্রহণ করে থাকে। উবুন্টু গঠিত হয়েছে ডেবিয়ান (www.debian.org) নামক আরেকটি কমিউনিটি-নির্ভর লিনাক্সের ওপর ভিত্তি করে। ডেস্কটপ ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি করা হলেও এর রয়েছে নেটবুক ও সার্ভার সংস্করণ। বিশ্বে ১২ মিলিয়নেরও বেশি ডেস্কটপ ব্যবহারকারী বর্তমানে উবুন্টু ব্যবহার করছেন। যে বিষয়টি উবুন্টু উপস্থাপন করে তা হচ্ছে স্বাধীনতা, ব্যবহার এবং শেয়ারের স্বাধীনতা, এটি দিয়ে যে কোনো কিছু করার স্বাধীনতা এবং শেখার স্বাধীনতা।

যা আছে এতে :

উবুন্টু হচ্ছে সম্পূর্ণ আধুনিক একটি অপারেটিং সিস্টেম, যাতে উইন্ডোজ বা ম্যাকিন্টোশ ওএসএক্সে যা পাওয়া যায় তার সবকিছুই রয়েছে। অর্থাত্ একজন ব্যবহারকারীর যা যা লাগবে তারই সবই রয়েছে এ ওয়েবসাইটে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এতে কোনো ভাইরাসের সমস্যা নেই এবং এ অপারেটিং সিস্টেমে শুরুতে প্রয়োজনীয় সবগুলো সফটওয়্যার দেওয়া থাকে। উবুন্টুতে ওয়েব ব্রাউজিংয়ের জন্য রয়েছে মজিলা ফায়ারফক্স। ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিংয়ে জন্য রয়েছে ম্যাসেঞ্জার পিজিন যা ইয়াহু, জি-মেইল, এআইএম, এমএসএনের মতো প্রায় সব সার্ভার সাপোর্ট করে। লেখালেখি করা, স্প্রেডশিট, প্রেজেন্টেশনের জন্য রয়েছে ওপেন অফিস নামের সফটওয়্যার। ছবি সম্পাদনার জন্য রয়েছে জিআইএমপি, মিউজিক চালানোর জন্য রয়েছে রিদমবক্স এবং ভিডিও দেখানোর জন্য রয়েছে ভিএলসি প্লেয়ার। এসব প্রোগ্রাম উবুন্টুর সাধারণ ইনস্টলেশনের সঙ্গেই বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
উবুন্টুর হার্ডওয়্যার সাপোর্ট খুবই চমত্কার। প্রাত্যহিক জীবনের সব হার্ডওয়্যার এটি সাপোর্ট করে-সাউন্ডকার্ড, গ্রাফিক্সকার্ড, প্রিন্টার, ওয়্যারলেস, ইউএসবি মেমোরি ডিভাইস, ক্যামেরা, আইপড এবং আরও অসংখ্য। উবুন্টুতে এগুলো ব্যবহার করতে হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার সিডি সঙ্গে নিয়ে ঘোরার কোনো প্রয়োজন নেই-প্রাক্টিক্যালি উবুন্টু ইনস্টল করার পর এ ডিভাইসগুলো সরাসরি ব্যবহার উপযোগী হয়ে ওঠে। উবুন্টু পুরনো হার্ডওয়্যারেও ভালো কাজ করে। উবুন্টু চালাতে সর্বনিম্ন এবং বাস্তবসম্মত রিকোয়ারমেন্ট হচ্ছে-৭০০ মেগাহার্জ প্রসেসর, ৩৮৪ মেগাবাইট মেমোরি এবং ৮ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক জায়গা।
এর সর্বশেষ সংস্করণ ১১.০৪-এ বছরের ২৮ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে। বর্তমানে ৫৫টিরও বেশি ভাষায় সংস্করণগুলো পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় সব লিনাক্সের সংস্করণের মতো উবুন্টুও বিনামূল্যে পাওয়া যায়। রিলিজের একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর্যন্ত এর আপডেটগুলোও বিনামূল্যে পাওয়া যায় (সাধারণত ১৮ মাস পর্যন্ত)। বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য বিডিওএসএনের একদল স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করেছে উবুন্টুর বাংলা সহায়িকা। বিডিওএসএন অফিসিয়াল সাইট থেকে বিনামূল্যে নামিয়ে নিতে পারেন।

আমরা খুব অল্প কথায় উবুন্টু সম্পর্কে জেনে নিলাম। তার পরও জানার শেষ নেই তাই উবুন্টু সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে এই ওয়েবসাইটে ভিসিট করলে।

বেশি বেশি করে প্রজ্ঞক্তি সম্পর্কে জানুন এবং অন্যের সাথে শেয়ার করুন।

ভাল থাকবেন সবাই।

No comments:

Post a Comment